আজ (১৭ আগস্ট) ভোরে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এমএ লতিফকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত শুনানি শেষে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এরশাদ নামের এক ব্যক্তি গুলিতে আহত হলে তিনি গতকাল (১৬ আগস্ট) ডবলমুরিং থানায় এমএ লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় এমএ লতিফ গুলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর কাদের পাটোয়ারী গণমাধ্যমকে জানান, সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এমএ লতিফকে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন এমএ লতিফ। এর আগে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতিও ছিলেন এমএ লতিফ।