দেশের স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। টানা ভারী বর্ষণ, ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানি এবং ডুম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় এই আকস্মিক বন্যায় আক্রান্ত দেশের ১২ টি জেলা। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ফেনীর। সারাদেশে বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। ফেনীতে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে উদ্ধার সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।
এমন দুর্যোগে মৃত মানুষদের কবর দেওয়ার মত শুকনো মাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের এই ক্রান্তিকালে বন্যাক্রান্ত মানুষের পাশে যার যতটুকু সামর্থ্য তা দিয়ে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদের খতিবগণ। বিভিন্ন মসজিদ থেকে কমিটির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ। জুমার নামাজে আজকের মুসল্লিদের দানকৃত অর্থ বানভাসি মানুষের সাহায্যে দান করার আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ এবং এ ব্যাপারে তহবিল গঠন করে দানকৃত টাকা বন্যাক্রান্ত মানুষের সাহায্যের জন্য পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দেশের বেশির ভাগ মসজিদে।
আজ (২৩ আগস্ট) রাজধানীর অধিকাংশ মসজিদগুলোতেই খতিবরা জুমার নামাজের আগের খুতবায় বর্তমান পরিস্থিতি ও বন্যার্তদের ভয়াবহ কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো মুসলমানদের বড় দায়িত্ব এমন কথাও বলেন তারা। আর নামাজের পর এই বিপদ থেকে পরিত্রাণ চেয়ে আল্লাহর কাছে করা হয় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। এ সময় অনেক মুসল্লিরাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিভিন্ন এলাকায় জুমার নামাজ আদায় করা গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, উত্তরা, ধানমন্ডি, আজিমপুর, পুরান ঢাকা, বাড্ডা, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ীসহ অধিকাংশ এলাকার মসজিদেই খতিবরা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এমন আহবানে সাড়া দিয়ে অনেক মুসল্লিই নামাজ শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন।