লক্ষ্মীপুরে জেলার শতভাগ এলাকায় বন্যা কবলিত, ৭ লাখের বেশী মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নোয়াখালী থেকে আসা পানির ঢল ও পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের কারণে রীতিমত বাড়ছে এই অঞ্চলের পানির উচ্চতা।
পানিবন্দি বাসিন্দারারা জানায়, লক্ষ্মীপুরের আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ দেওয়া হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো কোন ত্রাণ পৌঁছায়নি।
লক্ষ্মীপুরে যেসব এলাকায় ত্রাণ-সাহায্য দরকার বলে পানিবন্দিরা জানিয়েছেন,
১) মান্দারী, লক্ষ্মীপুর সদরের পরে।
২) জকসিন,লক্ষ্মীপুর শহরের কাছাকাছি।
৩) চন্দ্রগঞ্জ, থানার আশেপাশে
৪) রামগতি উপজেলার, বিভিন্ন ইউনিয়ন। বিশেষ করে ২নং চর বাদাম ইউনিয়ন।
৫) আলেকজান্ডার
৬) ৭নং বামনী, রায়পুর উপজেলা।
৭) ৪ নং সোনাপুর,রায়পুর উপজেলা।
৮) ৮ নং দক্ষিণ চরবংশী,রায়পুর উপজেলা।
৯) ৯নং তোরাবগঞ্জ, কমলনগর উপজেলা।
১০) কমলনগর ৮নং চর কাদিরা
১১) ৭নং হাজিরহাট, কমলনগর।
১২) পশুয়াখালী
১৩) তেওয়ারিগঞ্জ,কুশাখালী, লক্ষ্মীপুর সদর।
১৪) হায়দারগঞ্জ,রায়পুর
১৫) চরমার্টিন, ১.২.৮.৯ নং ওয়ার্ড, কমলনগর।
এদিকে গত শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে পানির আশা শুরু হলে রাতেই অনেক লোকজনকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে নেয় সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও রেডক্রস সদস্যরা।
এছাড়াও অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্র মিলিয়ে এখন সোমবার (২৬ আগস্ট ) পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশী মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও পানিবন্দিরের মধ্যে অনেকেই নিজ বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতেও আশ্রয় নিয়েছে।