সারাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান। সেই গণঅভ্যুত্থানের দিনই আশুলিয়ায় একটি ভ্যানে পুলিশের গুলিতে নিহত আন্দোলনকারীদের লাশ স্তূপ করে তোলার একটি ভিডিও ক'দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায় লাশগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ এর একটি দল।
এ বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনার ভিডিও দেশ-বিদেশে নাড়া দেয়। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে উঠে আসে যে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেন। এরপর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে, ঘটনাস্থলের আশেপাশের দেয়াল, পোস্টার ইত্যাদি দেখে নিশ্চিত করা গেছে যে ঘটনাটি আশুলিয়া থানার সামনে ঘটেছিল।
ভিডিওতে লাশের স্তূপ করা এক পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়। পরে জানা যায়, তিনি হলেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। প্রায় দুই বছর আগে ঢাকা জেলার গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন তিনি।
সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। বন্ধ ছিল মোবাইল ফোনও।