দুর্গাপূজার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ মাছের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এবারের আগে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ, দূর্গাপূজার সময় নিয়ম করে কলকাতার মানুষদের জন্য ভারতে ইলিশ পাঠাতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে আর ইলিশ পাঠানো হবে না এমনটাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ না পাঠানোর ঘটনায় কলকাতায় ইলিশের দাম বাড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় পদ্মার ইলিশ থেকেও এবার তারা বঞ্চিত হবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ খেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে। ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৎস উপদেষ্টা বলেছেন, “আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামী মাছ। আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ (খেতে) পারবে।”
বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন। হাসিনার এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন মৎস উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, “ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন।”
মৎস উপদেষ্টা বলেছেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার পানি বন্টনের সমস্যার সমাধান করা উচিত।