যেখানে এক সময় সূর্য তাপ থেকে পানি শুকিয়ে লবণ উৎপাদন হত সেখানে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘প্রকল্প বিলাস’ আখ্যায়িত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, প্রকল্পটি থেকে সাধারণ মানুষ খুব বেশি উপকৃত হচ্ছে না। মূল প্রকল্পের ধারণা অনুসারে গভীর সমুদ্রবন্দর, শিল্পকারখানা, রেল ও সড়ক সংযোগ না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসবে। ছোট প্রকল্পে মনোযোগী হবে সরকার, যাতে তা মানুষের কাজে আসে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদনের জন্য মাত্র ৩০ দিনের কয়লা মজুত আছে। শিগগির এ সংকটের সমাধান হবে। এছাড়া প্রকল্পে মিলেমিশে দূর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারী বা স্থানীয় যরে হোক না কেন যারা দূর্নীতির সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।
এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহিদুল ইসলাম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সালাহ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার সকালে তিনি উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনে যান। এদিন তিনি নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর ও এসপিএম প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পও পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ, প্রকল্পটিকে ঘিরে হাজার হাজার কোটি দুর্নীতি হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারী থেকে শুরু করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকল্পের ব্যবসার নামে কমিশন বাণিজ্যেসহ সকল বাণিজ্যে করে লুটেপুটে খেয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানান ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা।