ছবিঃ সংগৃহীত
সরকার নির্ধারিত
ডিম-মুরগির দামের সঙ্গে মিল নেই বাজারের বাস্তব চিত্রের। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের
মুরগির ডিম, ব্রয়লার মুরগি এবং সোনালি মুরগি। এই দুই পণ্য নিয়ে সরকারি নির্দেশনা মানা
হচ্ছে না কোথাও।
আজ (২০
সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।
রাজধানীর
কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে
১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।
এদিকে
খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের সর্বোচ্চ দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার
কথা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে
ডজন প্রতি ১৫৫ টাকায়।
এ
ছাড়া দাম বেড়ে গেছে মাছ, মাংস ও শাক-সবজিসহ
প্রায় প্রতিটি পণ্যের। এতে বিপাকে ভোক্তারা। তাদের মতে, শুধু সরকার পরিবর্তন হলেই চলবে না, অতিমুনাফা করার মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা
জানান, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে
ফসল, মাছ ও মুরগির খামার
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।
ক্রেতাদের
অভিমত, সরকার বদলালেও বাজারের চিত্র বদলায়নি; অসাধুরা এখনও লুটে নিচ্ছে টাকা। আমিনুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন,
সরকার পরিবর্তনের পর কয়েক দিন
দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু
বর্তমানে আবারও সেই একই চিত্র। সরকার বদলালেও বদলায়নি বাজারের চিত্র। এখনও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ভোক্তার পকেট কাটছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা
গেছে, উৎপাদনকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ী কেউই মানছেন না বেঁধে দেওয়া
দাম। বরং আমিষ জাতীয় খাদ্যপণ্য দুটি আগের চেয়ে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
এদিকে,
দর বাড়ার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে একপক্ষ দোষ চাপাচ্ছেন আরেক পক্ষের ওপর। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দর নির্ধারণের আগে
সরকার কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেনি। উৎপাদন না বাড়িয়ে দর
নির্ধারণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে
না।
আর
খুচরা বিক্রেতাদেরও একই অবস্থা। তাদের আঙ্গুল পাইকারি ব্যবসায়ীদের দিকে। তাদের ভাষ্য, পাইকারি
বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, যে
কারণে বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।
এর
আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মুরগি
ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ রেয়াজুল
হকের সই করা এক
চিঠিতে বলা হয়, ডিম খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭
পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং
ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ
করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি চিঠিতে ২০২৪ সালের মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও
ডিমের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য (উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে)
সঠিকভাবে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নতুন
নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ডিমের মূল্য উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮
পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১
পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭
পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেজিপ্রতি সোনালি মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি
পর্যায়ে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা এবং
খুচরা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ
করা হয়েছে। আর কেজিপ্রতি ব্রয়লার
মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি
পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা এবং
খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ
করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরের পরিচালক ছাড়াও বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স
অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ পোলট্রি
খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশসন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ
অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েটস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে চিঠি
পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh