সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারীদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করায় সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার
তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও এক হাজার কোটি টাকার
মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ (৯ অক্টোবর)
দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২-এর বিচারক মো. আল আমিনের আদালতে মোল্ল্যা
শওকাত হোসেন বাবুল নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
বাদীর
আইনজীবী এস এম মাসুদুর
রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত মামলা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে
সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাদী
এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামি তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা মানে তিনি সরকারকে উৎখাত ও সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে
নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আসামির মন্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। বাদী ওই মন্তব্য করে
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন এবং সরকারপ্রধানকে নিয়ে জনগণের মধ্যে ঘৃণাসহ বাজে মন্তব্য করে তা ফেসবুকের মধ্যে
ছেড়ে দিয়ে সরকারপ্রধানের মানসম্মান নষ্ট করেছেন। ড. মুহম্মদ ইউনূস
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নোবেল বিজয়ীসহ অন্যান্য প্রায় শতাধিক পুরস্কারে ভূষিত এবং তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। আসামি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে হেয়
প্রতিপন্ন করে তার এক হাজার কোটি
টাকার সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন।
মামলার
বাদী মোল্ল্যা শওকাত হোসেন বাবুল জাতীয় পার্টির (রওশন এরশাদপন্থি) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে
নিয়ে কিছু এলোমেলো বক্তব্য দিয়েছেন। যেটা উনি পারেন না। এটা একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতা, হুমকি ও মানহানিকর।
তিনি
আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারীদের বিরুদ্ধে তিনি বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদ্রোহিতা
এবং এক হাজার কোটি
টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছি। দেশের একজন সচেতন এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমি এ মামলা করেছি।