ছবিঃ সংগৃহীত
নাগরিক জীবনে সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের নাম সড়ক দুর্ঘটনা। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন সময়ে সরকার থেকে বহুবিধ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যাদের ভিতরে নিদৃষ্ট যায়গা ছাড়া বাস না দাঁড়ানো, যত্রতত্র যাত্রী না তোলা, বে তে গাড়ি দাঁড়ানো বা যাত্রী নামানো এমন বেশ কয়েকটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওযা হয়। এজন্য সরকার থেকে দফায় দফায় আইন পাস বা সংশোধন করে সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু দৃশ্যমান কোন ফলাফল আসেনি। বলা যেতে পারে সবকিছুই আইনে বা কাগজে কলমে রয়ে গেছে। সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে দেশের ট্রাফিক বিভাগও ব্যর্থ হয়েছে। এতো উদ্যোগ ও আইন পাশের পরেও সড়ক মরণফাঁদ হিসেবেই মানুষের আতঙ্কের কারণ হয়ে রয়ে গেছে। যদিও সড়ক দুর্ঘটনার জন্য কেবল যানবাহন দায়ী এমনটি বললে প্রকৃত সত্যকে চোখ রাঙাচ্ছে। দুর্ঘটনায় পরিবহনের সঙ্গে পথচারীদের বেপরোয়া চলাচল সমান ভাবে দায়ী করা যায়।
এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে যত্রতত্র সড়ক পরিবর্তনে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত, ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহারে অনীহা থেকে চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে দৌড়ে রাস্তা পারাপার হওয়া। পথচারী অন্য স্থানে অনর্থক সময় ব্যয় করতে পারলেও সড়কে নষ্ট করার মতো কোন সময় তার হাতে থাকে না। পথচারীদের এই অভ্যাস বেশিরভাগ সময়ই দুর্ভাগ্য ডেকে আনে।
গতকাল রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় তেমনি একটি দুর্ঘঘটনায় প্রাণ দিলেন আইরিন(২৪) যিনি নেক্সট ভেনচার কোম্পানির একজন কর্মী ছিলেন। এদিকে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরপরই নেক্সট ভেনচার কোম্পানির কর্মীরা সড়কটি অবরোধ করে রাখে। তাদের দাবি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী পরিবহনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রশাসন তাদের দাবি মেনে নিলেও সড়কে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখে। ফলে সড়কটিতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকার ফুজি ট্রেড সেন্টারের সামনে আকাশ পরিবহনের একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হন নেক্সট ভেনচার কোম্পানির এই নারী কর্মী। ঘাতক বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোম্পানিটির কয়েকশ কর্মী ঘটনাস্থলে এসে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। ফলে প্রগতি সরণি এলাকায় অসহনীয় যারজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছে গুলশান ট্রাফিক বিভাগ।
পোস্টে বলে হয়, বাড্ডা ট্রাফিক জোনের অধীন ফুজি ট্রেড সেন্টারের সামনে আউটগোয়িংয়ে আকাশ পরিবহন বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে নেক্সট ভেনচার কোম্পানির একজন নারী কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত হন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। ওই কোম্পানির কর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার কারণে রামপুরা থেকে যমুনা ফিউচার পার্কের দিকে এক লেনে গাড়ি চলাচল করে। সড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচলে ধীর গতি দেখা যায়। তবে কয়েকঘণ্টা চেষ্টার পর পুলিশ সন্ধ্যার দিকে সড়কটি অবমুক্ত করে। এরপর যান চলাচলন স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্বাস বলেন, সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর বাসটি জব্দ করা গেলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পরপরই ওই কোম্পানির কর্মীরা রাস্তায় অবরোধ করেন। অবশ্য কয়েকঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে যায়। কিন্তু কিছু লোক তখনও সড়কে থেকে যান। সন্ধ্যার দিকে তারা সবাই সড়ক ছাড়লে রাস্তায় যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh