বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ২৪শে অক্টোবর বিশ্ব পোলিও দিবস পালন করা হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এ ভাইরাসে আক্রান্ত
হওয়াকে পোলিওমায়েলাইটিস বা সংক্ষেপে পোলিও
বলা হয়। সারাবিশ্বে এক সময়ে ত্রাস
ছিল এই রোগ। পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে টিকা আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রোগটি আর ত্রাস হয়ে দাঁড়ায়নি। তবে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এখনও রোগটি রয়ে গেছে।
এবার
দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘টিকা নিরাপদ এবং জীবন বাঁচায়’।
বাংলাদেশে সর্বশেষ ২০০৬ সালে ১৮ জন পোলিও
রোগী শনাক্ত হয়। অর্থাৎ ১৪ বছর আগে
২০০৬ সালে বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত হওয়ার জন্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে রোটারি ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি, নানা শ্রেণি ও সংগঠনের সম্পৃক্ততা
অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে।
জোনাস
সক জন্মদিন ২৪ অক্টোবর, তাই বিশ্বব্যাপী
এই দিনটিকে পোলিও দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। জোনাস পোলিওমাইলাইটিসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া প্রথম
দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই নিষ্ক্রিয় পোলিওভাইরাস
ভ্যাকসিনের ব্যবহার এবং পরবর্তীতে আলবার্ট সাবিনের তৈরি মুখ দিয়ে খাওয়া যায় এমন পোলিওভাইরাস ভ্যাকসিনের ব্যাপক ব্যবহার ১৯৮৮ সালে গ্লোবাল পোলিও ইরাডিকেশন ইনিশিয়েটিভ (GPEI) প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত করে । তারপর থেকে,
GPEI বিশ্বব্যাপী পোলিও 99 শতাংশ হ্রাস করেছে।
রোটারি
বাংলাদেশ পোলিও প্লাস কমিটির তথ্যমতে, পৃথিবী থেকে পোলিও নির্মূল হলেও এখনো দুটি দেশে ১০০ শিশু পোলিও আক্রান্ত আছে। দেশে ১৯৭৯ সাল থেকে পোলিও টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। তবে পোলিও নির্মূলের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্তর্জাতিক, জাতীয়, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক
টিকা দিবস ধারাবাহিকভাবে পালন শুরু হয় ১৯৯৫ সাল
থেকে।
সরকারের
স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে রোটারি ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি, নানা শ্রেণি ও সংগঠন এবং
সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত হয় ২০০৬ সালে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পোলিওমুক্ত বাংলাদেশের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করে ২০১৪ সালের ২৭শে মার্চ।
সাধারণত
পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরা
সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত
হলে আরোগ্য লাভের সুযোগ নেই। আক্রান্ত হওয়ার অনেক লক্ষণের মধ্যে গুরুতর লক্ষণ হলো- জ্বর, শ্বাসকষ্ট শেষে পক্ষাঘাত বা পঙ্গুত্ব। আক্রান্তের
হার বেশি হলে নানা জটিলতাসহ মৃত্যুও হয় এই রোগে।