কৃষি পণ্য না পেয়ে উদ্বোধনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’। ট্রেনটি গত ২৬ অক্টোবর উদ্বোধন হয়েছিল। তবে উদ্বোধনের প্রথম দিনই কৃষিপণ্য ছাড়াই চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকার তেজগাঁ রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে রেল বিভাগ। যার কারণে, একদিন চলেই বন্ধ করে দেওয়া হলো ট্রেনটি।
রেল বিভাগ জানিয়েছে, গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এই বিশেষ ট্রেন। বেলা সোয়া ১১টায় রাজশাহী রেলস্টেশনে পৌঁছায়। শুরুর স্টেশন থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ৫টি স্টেশনে সবজি নেওয়ার জন্য থামলেও কোনো সবজি বা কৃষিপণ্য না পাওয়ায় বিশেষ ট্রেন খালি যেতেই বাধ্য হয়।
পাকশি রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা একেএম নুরুল আলম জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন ১২০ টন পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধা মিলবে এই ট্রেনে। প্রতিকেজি সবজি ও কৃষিপণ্য বহনে রহনপুর থেকে পড়বে ১ টাকা ৩০ পয়সা ও রাজশাহী থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ১৮ পয়সা। প্রতি শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী হয়ে ১৪টি স্টেশন থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় পৌঁছবে ট্রেনটি। তবে প্রথম দিনে কৃষিপণ্য না গেলেও ১৫০ কেজি ডিমের খাঁচি পরিবহণ করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তার দাবি করেছিলেন, ব্যাপক প্রচারণা চালালেও ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহণে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। যদিও কৃষকরা বলছেন, বিশেষ এই ট্রেনের খবর তারা জানেন না। তবে রাজশাহীরা ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছিলেন, তারা ট্রেনটি চালুর বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কৃষিপণ্য পরিবহণে ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল’ নামে ট্রেনটি চালু করেছে। ট্রেনটি মঙ্গলবার খুলনা থেকে ঢাকা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় থেকে ঢাকা ও শনিবার রহনপুর থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকায় চলাচল করার কথা ছিল। কিন্তু এক সপ্তাহের মাথায় বন্ধ হয়ে গেল ট্রেনটি।
এ বিষয়ে বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানাজার (ডিআরএম) নূর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেনটি শুধুমাত্র উদ্বোধনের দিনই চলেছে। তারপর থেকে বন্ধ রয়েছে।