দ্রব্যমূল্যের
লাগামহীন উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আলুর আড়তে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার
সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ (৯ নভেম্বর) সকালে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এই বিশেষ অভিযানটি
পরিচালনা করেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল।
বাংলাদেশের
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)
তথ্যে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৫৫
থেকে ৬০ টাকা কেজিতে
বিক্রি হওয়া আলু এখন দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০
টাকায়। খুচরা পর্যায়ে এ মূল্য আরও
বেড়ে যায়।
এর আগে গতকাল
(৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের মতো করেই আলুর দাম গত
সপ্তাহের তুলনায় আরও বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা
ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে একই সঙ্গে প্রতি কেজি
আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
ক্রেতারা
বলছেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের কোনো
সংকট তারা দেখছেন না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এসবের দাম বাড়াচ্ছেন। পরিস্থিতি অস্থির করে তুলছেন।
ব্যবসায়ীদের
ভাষ্য, হিমাগার গেটে আলুর দর বেড়েছে, যার
প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আর বাজারে দেশি
পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটে দেশি ও আমদানি দুই
ধরনের পেঁয়াজেরই দাম বেড়েছে। তবে এই অবস্থা বেশিদিন
থাকবে না।
এ
বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)
সহসভাপতি এস এম নাজের
হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, শুল্ক কমানোর পর এর সুবিধা
একটি পক্ষ নিয়ে নিচ্ছে, ভোক্তারা পাচ্ছেন না। শুল্ক সুবিধা কারা নিয়ে যাচ্ছে, সরকারের পক্ষ থেকে এটি কঠোর মনিটরিংয়ে রাখতে হবে।
তিনি
আরও বলেন, সরকার এখন শুধু খুচরা পর্যায়ে তদারকি করছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা- এই
তিন স্তরেই তদারকি করতে হবে, যা হচ্ছে না।