আজ (১৬ নভেম্বর) রাজধানীতে
আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারই এই সরকারের
প্রধান চ্যালেঞ্জ।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার।
এর
আগে, গতকাল(১৫ নভেম্বর) সেন্টার
ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে
বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে
উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।
জিল্লুর
রহমান আরও বলেন, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ
(সিজিএস) গত দুই বছর
ধরে বার্ষিক বে অব বেঙ্গল
কনভারসেশনের আয়োজন করে আসছে। বিগত বছরগুলোতে এ সম্মেলন আয়োজন
করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বছর আমরা
অনেক সহযোগিতা পাচ্ছি। এটি আমাদের তৃতীয় বছর এবং আমাদের সবচেয়ে বড় আয়োজন করতে যাচ্ছি।
সিজিএসের
এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি আমাদের জন্য সংলাপ ও সহযোগিতার জন্য
নতুন পথ উন্মুক্ত করাসহ,
গণতান্ত্রিক নীতি নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার বড় ধরনের সুযোগ
তৈরি করেছে। এই সম্মেলনে গণতন্ত্র,
মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, সীমান্ত পেরিয়ে সব চ্যালেঞ্জগুলো অন্বেষণ
করা হবে।
তিনি
বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এ অঞ্চলের দেশগুলোর
কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায়
এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষভাবে, এ সম্মেলনের মাধ্যমে
নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কুটনৈতিকভাবে লাভবান হবে। রাজনৈতিক, মানবাধিকার, অপতথ্য, গুজবসহ সব বিষয় নিয়ে
আমরা কথা বলতে চাই।
এ
সময় সিজিএসের চেয়ার মুনিরা খান বলেন, এই সম্মেলন থেকে
আমরা গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকারসহ বৈশ্বিক
বিষয়ে জানতে চাই, কথা বলতে চাই। এই সম্মেলনের এজেন্ডা
জনগণের জন্য, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। সব ধরনের সমস্যা
ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে চাই। পৃথিবীব্যাপী জনগণ, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নির্বাচন, দারিদ্র্য নিয়ে কথা বলার জন্যই আমাদের এই সম্মেলন।
প্রসঙ্গত,
আজ থেকে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু
হয়ে চলবে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
এতে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং
৮০০ জন অংশ নেবেন।
এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’।