বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আবদেলওয়াহাব সায়দানি বলেছেন, আলজেরিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আগ্রহী। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলজেরিয়া সরকারের কয়েকটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় সিলেটের চেম্বার কার্যালয়ে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আলজেরিয়াতে প্রচুর খেজুর উৎপন্ন হয়, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে বাংলাদেশ আলজেরিয়া থেকে স্বল্পমূল্যে খেজুর আমদানি করতে পারে। এতে আমাদের দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে।
আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, আলজেরিয়া সম্প্রতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপসহ উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান করছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এই সুবর্ণসুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও ব্যবসায়ীদেরকে অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা বিজনেস ভিসা প্রদান করছি। তিনি আলজেরিয়ার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সিলেট তথা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হওয়ার জন্য আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের পরপর সর্বপ্রথম আরব দেশ হিসেবে আলজেরিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এজন্য আমরা আলজেরিয়া সরকার ও জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে উন্নতমানের তৈরি পোষাক, সিরামিক, লেদার, প্লাস্টিক পণ্য, মেলামাইন, মেডিসিন, ইলেকট্রিক ক্যাবল ও কৃষিপণ্য উৎপন্ন হয়। আলজেরিয়ার আমদানিকারকরা এসব পণ্য স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে পারেন। তিনি আরো বলেন, সিলেট বিনিয়োগের জন্য আদর্শ স্থান। আলজেরিয়ার বিনিয়োগকারীরা সিলেটে পর্যটন, শিল্প, শিক্ষা ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
সভায় সিলেট অঞ্চলের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মো. ফয়সাল। অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে নর্থইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম আল আজিজ লেলিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।
এ সময় সিলেট চেম্বারের সহসভাপতি, পরিচালক, সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলজেরিয়া ও বাংলাদেশের এ ধরনের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক উদ্যোগ ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীরা।