ইরাকি জাহিদী খেজুর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম টন প্রতি ৮০০ ডলার, আমাদের দেশে এসেসমেন্ট ভ্যালু ২৫০০ ডলার, নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদা বেশি থাকে বস্তা খেজুর, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য টন প্রতি ৬০০ডলার, শুল্ক নির্ধারণ প্রায় ১০০০ ডলার।
রমজানের বাজারে কয়েকগুন বেশি চাহিদা থাকে খেজুরের আমদানি শুল্ক আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কয়েকগুন বেশি থাকায় বাজারে খেজুরের দাম বেশি বলে জানান ফল আমদানিকারকরা। ব্যবসায়ীরা জানান সর্বশেষ শুল্ক হ্রাস ‘অতি সামান্য’। যে পরিমাণ কমানো দরকার, সেই পরিমাণ কমানো হয়নি। খেজুরের আমদানি শুল্ক কয়েকগুণ বাড়ানোর কারণেই খেজুরের দাম এখনো বাড়তি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে ৬০-৭০হাজার মেট্রিক টন খেজুরের চাহিদা থাকে। পূর্বে যে শুল্ক ধরা হত, তা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল থাকলেও বর্তমানে যে শুল্ক, তা বাজারমূল্য থেকে অনেক বেশি। তাই অনেক ব্যবসায়ী চাহিদার তুলনায় অনেক কম আমদানি করে থাকে। খেজুর আমদানিতে পিপি ব্যাগে আগের শুল্কায়ন মূল্য ছিল কেজিপ্রতি ৫.৪৫ টাকা, আর বর্তমানে করা হয়েছে ৬৫ টাকা। ড্রাই কন্টেইনারে ছিল ১০.৯৩ টাকা, যা বর্তমানে ধরা হয়েছে ১৬৪ টাকা। এছাড়া হিমায়িত কন্টেইনারে ছিল কেজিপ্রতি ১০ টাকা, যা এখন ২৬২ টাকা। রিটেইল প্যাকেটজাত কার্টন ছিল ২১.৮৪ টাকা, যা বর্তমানে ১৮০ টাকা। শুল্ক না কমালে খেজুরের মূল্য অনেক বেড়ে যাবে, নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে খেজুর কিনে খাওয়া।
সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, “খেজুরে যেভাবে ডিউটি কমানোর কথা, সেভাবে তো কমেইনি, বরং আমদানির চেয়ে ৩ গুণ শুল্ক ধরা হয়েছে। ইরাকি জাহিদী খেজুর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম টন প্রতি ৮০০ ডলার, আমাদের দেশে এসেসমেন্ট ভ্যালু ২৫০০ ডলার, নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদা বেশি থাকে বস্তা খেজুর, আন্তর্জাতিক বাজার যার মূল্য ৬০০ডলার, শুল্ক নির্ধারণ প্রায় ১০০০ ডলার,আলজেরিয়া, তিউনেশিয়ার খেজুর ১২০০-১৫০০০ ডলার, যার এসেসমেন্ট ভ্যালু ২৫০০-৩০০০ডলার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে খেজুরের দাম মানভেদে ৫০ থেকে ১০০ ডলার কমলেও আমাদের দেশে সরকার এই পণ্যে কয়েকগুণ শুল্ক দিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিকারকরা “শুল্ক কমানোর আহবান জানান ৷ অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক লোন করে সারা বছর ব্যবসা করে থাকে, অতিরিক্ত শুল্ক দেওয়ার কারনে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে জানান ৷
তিনি আরো বলেন, শুল্ক কমিয়ে মানুষকে খেজুর খাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক । বাজারে এখন খেজুরের যে মূল্য রয়েছে, এই মূল্যে খেজুর বিলাসী পণ্যের তালিকায় চলে গেছে। খেজুর কখনো বিলাসী পণ্য ছিলো না।