আজ ১৪ ডিসেম্বর
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনীর হাতে প্রাণ হারানো দেশের
শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধ্যার্ঘ্য অর্পণ করতে আজ মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে
লাখ মানুষের ঢল নেমেছে।
সকালে রাষ্ট্রপতি
ও প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানানোর পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সর্বসাধারণের
জন্য খুলে দেওয়া হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের
শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকেই বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন
নিয়ে কবরস্থানে আসছেন। কালো ব্যাজ ধারণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন
করতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক
সংগঠন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষজন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
করছেন। কবরস্থানের ভেতর থেকে বাইরে পর্যন্ত মানুষের দীর্ঘ লাইন। এসময় শহীদ পরিবারের
সদস্যরা তাদের প্রিয়জনের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের স্মৃতিচারণ করেন। অনেকেই কবরের
পাশে চোখের পানি ফেলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অনেক সাধারণ মানুষকেও শহীদদের কবরের সামনে
নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আবার অনেককে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত
করতে দেখা গেছে।
১৯৭১ সালের
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামসরা মিলে
দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, লেখক, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের
নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। যাদের অধিকাংশকেই সমাহিত করা হয় মিরপুরের শহিদ বুদ্ধিজীবী
কবরস্থানে। তাদের স্মরণেই সকাল থেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে
শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন।
এর আগে, মিরপুরে
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।