গত ৫ আগস্ট
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিডিআর হত্যাকান্ডের পুনঃতদন্তের দাবি ওঠে। পরে ড.
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পিলখানা হত্যাকান্ডের
প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে পুরো ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠনের কথা জানায়। তবে এ বিষয়ে এখনো
দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় থাকায় আপাতত কমিশন গঠন না করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে
সরকার।
স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ (১৫ ডিসেম্বর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান বিচারপতি
ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ
তথ্য জানান।
প্রসঙ্গত,
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬
ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা
কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের
শিকার হন। এ ঘটনায় প্রথমে
রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে
দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ
প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এছাড়া
বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত
করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। বিচার চলাকালে তৎকালীন বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়। রক্তক্ষয়ী ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী
বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।