আজ (২২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে চাঁদপুরের হরিনায় পদ্মা নদীতে কীর্তনখোলা-১০ এবং প্রিন্স আওলাদ-১০ নামে দুটি
লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় দুই লঞ্চেরই সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে
গিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো যাত্রী হতাহত হয়নি।
রিশাল নদী
বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক আজ (২২ ডিসেম্বর) ভোরে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা
গেছে, গতকাল (২২ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে কীর্তনখোলা-১০ ঢাকার উদ্দেশ্যে
যাত্রা করে। অপরদিকে, ঢাকা থেকে প্রিন্স আওলাদ-১০ নামের একটি
লঞ্চ বরিশালের নদীপথে রওনা হয়। পথে পদ্মানদীর চাঁদপুরের হরিনা এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় লঞ্চ দুটির।
ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে
বলে জানিয়েছেন বছর কর্মকর্তারা। তবে, কোনো যাত্রী হতাহত হয়নি বলে দাবি তাদের।
বরিশাল
নদী বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাতেই কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চ ঢাকার
পথে ছেড়ে যায়৷ তবে, প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চটি বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শুভরাজ নামে আরেকটি লঞ্চ যাত্রীদের উদ্ধার করে রোববার সকালে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। উভয় লঞ্চে ১২শ’র বেশি যাত্রী
ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কীর্তনখোলা লঞ্চের যাত্রী মেহেদী হাসান মোবাইল ফোনে বলেন, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাকুনি দিয়ে আমাদের লঞ্চটি প্রায় কাত হয়ে যাচ্ছিল। লঞ্চের মধ্যে মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখনো বুঝিনি কি ঘটেছে। সামনে ছুটে গিয়ে দেখি আওলাদ লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।
তিনি বলেন, লঞ্চ দুটির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। যাত্রীরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন। দুটি লঞ্চই এমনভাবে কাত হয়ে গিয়েছিল আরেকটু হলে ডুবে যেত।
প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের আরেক যাত্রী ফারজানা বলেন, আমরা ডেকের সামনের দিকে শুয়েছিলাম। রাত আড়াইটা-তিনটার দিকে প্রচণ্ড শব্দে আমাদের লঞ্চটি কেঁপে ওঠে। আমরা সবাই চিৎকার করে উঠি। খুব বাজে অভিজ্ঞতার পর বেঁচে ফিরেছি। এখন শুভরাজ লঞ্চে আছি বরিশালের পথে।
উল্লেখ্য, এমভি কীর্তনখোলা-১০ ও এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ দুটি লঞ্চই আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিলাসবহুল লঞ্চ।