ইনকিলাব মঞ্চের
নেতারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া ছাত্র জনতার
অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যায় জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারসহ
তিন দফা দাবি লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন। এরপর তারা কাকরাইল মোড় থেকে অবরোধ ও গণঅনশন
কর্মসূচি স্থগিত করে চলে যান।
আজ
(২২ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে পাঁচটা দিকে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজিব এম খায়রুল ইসলাম
ইনকিলাব মঞ্চের তিনটি দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা কাকরাইল মোড় থেকে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
এদিন
বেলা সাড়ে ১২টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে ইনকিলাব মঞ্চ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে যাওয়ার কথা ছিল মিছিলটির। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে সামনে অবস্থান নেন মঞ্চের নেতারা।
গত
বৃহস্পতিবার জুলাই-অগাস্টের গণ-আন্দোলনে সক্রিয়
পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ তুলে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়
বেঁধে দেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এই সময়ের মধ্যে
দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে প্রধান
উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে অনশনে বসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
ইনকিলাব
মঞ্চ জানিয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্ত দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে জখম হয়ে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা
মেডিকেলে মারা যান। ১৮ ডিসেম্বর পূর্বাচলের
লেক থেকে শিক্ষার্থী সুজানা আক্তার (১৭) ও সাইনুর রশিদ
কাব্য (১৬) নামে দু'জনের লাশ
উদ্ধার করা হয়। একই দিন চট্টগ্রামে জসিম উদ্দিন নামে আন্দোলনে যুক্ত আরেক শিক্ষার্থী হত্যার শিকার হন।