আজ (২৬ ডিসেম্বর)
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা
আগুন ফায়ারসার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের টানা ৬ ঘন্টার চেষ্টায় সকাল ৮টার দিকে নিয়ন্ত্রণে
আসে।
ফায়ার
সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস আজ
(২৬ ডিসেম্বর) রাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন
লাগার সংবাদ পায় । কয়েক মিনিটের মাথায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
সকালে
এক সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, আগুনের সূত্রপাত নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জাহেদ
কামাল বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এর মধ্যে ১০টি
ইউনিট সরাসরি কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়িগুলো ভেতরে
ঢোকানো যাচ্ছিল না। তাই গেট ভেঙে দুটি গাড়ি ঢোকানো হয়েছে।
এদিকে,
আগুন নেভানোর সময় ট্রাকচাপায় আহত হওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফায়ার ফাইটারের নাম মো. সোহানুজ্জামান নয়ন। তিনি তেজগাঁও ফায়ার টিমের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্য। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। তিনি দুই বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া আগুন নেভানোর সময় আরেক ফায়ার কর্মী পা কেটে আঘাতপ্রাপ্ত
হন।
অপরদিকে,
ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় কাভার্ডভ্যান চালককে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, গণপূর্ত ভবনের সামনে দিয়ে ওই কাভার্ডভ্যানচালক দ্রুত গতিতে
পালিয়ে যাচ্ছিল। পরে ব্যারিকেড দিলে চালক কাভার্ডভ্যান থামান।
পরে
তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তেজিত
মানুষজন চালককে মারতে উদ্যত হন, কিন্তু সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়;
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়;
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়;
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়;
অর্থ মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের
বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।