আজ (২৬ ডিসেম্বর)
রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের টানা ৬ ঘন্টার
চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এলেও সকাল থেকে কাউকে ভেতরে প্রবেশ দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এতে সচিবালয়ের বিভিন্ন গেটের সামনে অবস্থান নেন এক হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী৷
পরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল বিবেচনায় সচিবালয়ের ৫ নং গেট দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলে
সকাল ১০টার দিকে কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রবেশ শুরু করে।
সচিবালয়ে
প্রেসক্লাবের সামনে ও আশেপাশের এলাকা
ঘুরে আজ (২৬ আগস্ট) সকালে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন
দেখা যায়, সচিবালয়ে মেট্রোরেল স্টেশন থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ ভবন, ওসমানী উদ্যান এবং খাদ্য ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিতরে প্রবেশের অপেক্ষা করছেন৷ পরে ৫নং গেট দিয়ে আগে নারী কর্মকর্তাদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
এর আগে এ
ঘটনায় সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ
জাহেদ কামাল জানান, আগুনের সূত্রপাত নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জাহেদ
কামাল বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এর মধ্যে ১০টি
ইউনিট সরাসরি কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়িগুলো ভেতরে
ঢোকানো যাচ্ছিল না। তাই গেট ভেঙে দুটি গাড়ি ঢোকানো হয়েছে।
এদিকে,
আগুন নেভানোর সময় ট্রাকচাপায় আহত হওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফায়ার ফাইটারের নাম মো. সোহানুজ্জামান নয়ন। তিনি তেজগাঁও ফায়ার টিমের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্য। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। তিনি দুই বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া আগুন নেভানোর সময় আরেক ফায়ার কর্মী পা কেটে আঘাতপ্রাপ্ত
হন।