সচিবালয়ে আজ (২৬ ডিসেম্বর)
মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের টানা
ছয় ঘন্টার চেষ্টায় অবশেষে সকাল আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের
পর ৪ নং ভবন ছাড়া সবগুলো ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৯ ঘণ্টা
ধরে বিদ্যুৎবিহীন প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়। এতে বিঘ্ন হচ্ছে দাপ্তরিক কাজ।
সচিবালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রবেশ করলেও কাজ করতে না পারায় বেশির ভাগই বাসায় ফিরে
গেছেন।
আজ
(২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সচিবালয়ের চার নম্বর ভবন ছাড়া কোনো ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। খোলা হয়নি দপ্তর। অনেক দপ্তরে এখনও তালাবদ্ধ।
এদিকে
দাপ্তরিক কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় অনেক কর্মকর্তাদের সচিবালয় থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভেতরে ঢোকার সুযোগ পেলেও কোনো কক্ষেই প্রবেশ করা যাচ্ছে না। পুরো সচিবালয় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। কিছু স্থানে জেনারেটর চললেও অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ নেই।
স্থানীয়
সরকার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারী বলেন,
আমাদের মন্ত্রণালয়ের একাংশ পুড়েছে। পুরো ভবন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। আমরা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বেড়িয়ে আসছি।
ছয়
নম্বর ভবনে থাকা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের
কর্মী আফসানা আক্তার বলেন, অন্য ভবনে আগুন লাগলেও আমাদের ভবনে বিদ্যুৎ না থাকায় ঢুকতে
পারছি না। সেজন্য বেড়িয়ে আসছি।
একই
কথা বলেছেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রাজিব আহমেদ।
এদিকে
ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স
অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ২০টি ইউনিট ও ২১১ জন
ফায়ার কর্মী কাজ করেছেন। দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ অফ রাখা হয়েছে।
ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা
বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।