বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ জানিয়েছেন ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন’ বা জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের কর্মসূচি আজ (৩১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে কি-না তা জানা যায়নি।
আজ (৩১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান রক্ত দিয়ে অর্জিত। এই অভ্যুত্থান আমার ভাইদের চোখের বিনিময়ে অর্জিত। এই অভ্যুত্থান আমার হাজারো ভাইয়ের শহীদের রক্তে অর্জিত অভ্যুত্থান। আমরা এই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে চেয়েছি। আমরা রাষ্ট্রকে বলেছি, আমাদের যেন সাপোর্ট করা হয়। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গিয়েছি। আমরা বলেছি, তারা যেন আমাদেরকে সমর্থন জানায়। যেন ঘোষণাপত্রকে গ্রহণ করে। এই ঐতিহাসিক দলিলকে গ্রহণ করতে হবে। এই ঐতিহাসিক দলিল যাতে আমরা ঘোষণা না করতে পারি তার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমরা প্রাথমিকভাবে বিজয় লাভ করেছি। সরকার আমাদের ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে হাঁ-বাচক কথা বলেছে। আমাদের ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অবশ্যই শহীদ মিনারে একত্রিত হবো।
সমন্বয়ক মাসুদ হান্নান বলেন, ‘সরকার তাদের ঘোষণাপত্রকে সমর্থন ও গ্রহণ করেছে। শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা তার প্রশ্নে কোনো ছাড় হবে না। মঙ্গলবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হবে, এবং তিনি ৫ জুলাইয়ে যেমন নারী পুরুষ নির্বিচারে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন, তেমনি মঙ্গলবারও সবাইকে শহীদ মিনারে জড়ো হওয়ার আহবান জানান।’
তিনি আরও বলেন, আমরা পূর্ববর্তী কর্মসূচি অনুযায়ী শহীদ মিনারে একত্রিত হবো। সরকারের পক্ষ থেকে ষোঘণাপত্র আসবে। তাই বলে আমাদের একত্রিত হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্রে পেরেক মেরে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসে এই ঘোষণাপত্রের শক্তি প্রদর্শন করব। ৫ আগস্ট এ দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল, হাসিনার বিরুদ্ধে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল। গণ-অভ্যুত্থানের অংশীদারিত্বের জায়গা থেকে যারা ৫ আগস্ট রাস্তায় নেমেছিল,আজ শহীদ ভাইদের রক্তে অর্জিত ঘোষণাপত্রে পক্ষে রাস্তায় নেমে আসবে। ৫ আগস্টের মতো আগামীকাল কয়েকটা গণজোয়ার দেখতে চাই।