পটুয়াখালীর
কলাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত করা
হয়েছে বর্ণিল রঙে সুসজ্জিত ২২০টি
নৌকা। উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজীবপুর গ্রামের আন্ধারমানিক নদীর তীরে বরিশাল
চারুকলা বিদ্যালয়ের ১০ জন শিল্পী
এ নৌকাগুলোকে প্রস্তুত করেছেন। প্রায় ৪ দিন ওই
১০ শিল্পীসহ মোট ৩৫ জন
সহকারীর প্রচেষ্টার পর এ নৌকাগুলোর
সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে।
লাল, সবুজ, নীল এবং হলুদ
রঙে এগুলো সজ্জিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট
সূত্রে জানা গেছে, ২১
মার্চ দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা ১ হাজার ৩২০
মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
উদ্বোধনে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে
সময় এসব নৌকা রাবনাবাদ
নদী মোহনায় সারিবদ্ধ করে রাখা হবে।
এর মধ্যে ১০০ নৌকা থাকবে
পালতোলা, ১০০ নৌকায় থাকবে
প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার
ফেষ্টুন এবং বাকি ২০টি
নৌকায় থাকবেন নিরাপত্তাকর্মীরা। প্রতিটি নৌকায় রঙ-বেরঙের পোশাকে
২ জন করে মোট
৪শ জন জেলে প্রধানমন্ত্রীকে
স্বাগত জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী নৌকা পরিদর্শনকালে স্লোগানে
স্লোগানে মুখরিত হবে রাবনাবাদ চ্যানেল।
উপকূলীয় মানুষের জীবনাচরণ ও নদীভিত্তিক অর্থনীতিতে
এ অঞ্চলে মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্য এর মাধ্যমে ফুটিয়ে
তোলা হবে।
পর্যটন
উদ্যোক্তা জলতরণীর স্বত্তাধিকারী আরিফ রহমান বলেন,
নৌকাগুলো প্রস্তুতের সময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে
চারুকলা শিল্পীদের পাশে থেকে সহযোগিতা
করেছি। চারুকলার শিক্ষার্থীর হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় নৌকাগুলো মনভোলানো সাজে সজ্জিত হয়েছে।
বরিশাল
চারুকলা বিদ্যালয়ের প্রধান শিল্পী তাপস কর্মকার জানান,
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্যে উদ্ধুদ্ধ হয়ে চারুকলা বিদ্যালয়ের
শিল্পীরা বেশির ভাগ লাল এবং
সবুজ রঙ ব্যবহার করে
বিভিন্ন আল্পনায় এসব নৌকাগুলো ফুটিয়ে
তুলেছেন। এছাড়া সাদা, হলুদ এবং নীল
রঙ ব্যবহার করা হলেও এ
নৌকায় কোন কালো রঙ
ব্যবহার করা হয়নি। দিনরাত
মিলিয়ে ৪ দিন অক্লান্ত
পরিশ্রমের পর নৌকাগুলোতে আল্পনার
কাজ শেষ হয়েছে।
পটুয়াখালী
জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ প্রিন্স জানান, উপকূলের মানুষের জীবনযাত্রা তুলে ধরতেই এ
নৌকা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১
মার্চ পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
কেন্দ্র উদ্বোধনের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শতভাগ
বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করবেন। ২০১৬ সালে পায়রা
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।