যুক্তরাজ্য
চায় বাংলাদেশে একটি সত্যিকারের স্বচ্ছ নির্বাচন হোক। তবে এর জন্য প্রয়োজনীয়
কাঠামোগত সংস্কার থাকতে হবে। যদি খুব তাড়াহুড়া করা হয়, সেটি বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হবে।
গতকাল (৮
জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সংসদ সদস্য
রূপা হক এসব কথা বলেন।
২০১৭
সালের পর গত বছর
মে মাসে জাতিসংঘের একটি বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন জানিয়ে রূপা হক বলেন, সে
সময় বাংলাদেশ ১.০ দেখেছি। আর এখন আমি
বাংলাদেশ ২.০ দেখছি। মে মাসে যখন
এসেছিলাম, তখন সব জায়গায় শুধু
দুটি ছবি দেখেছি। একটি হাসিনার আরেকটি মুজিবের ছবি। এটি ভালো অভ্যাস নয়। সব জায়গায় মূর্তি
দেখেছি। বিষয়টি দৃষ্টিকটু লেগেছে। বাংলাদেশ উদীয়মান দেশ। যুক্তরাজ্যের তুলনায় এটি অনেক ছোট্ট দেশ। কিন্তু এখানে কর্মক্ষম তরুণ জনশক্তি আছে। তাদের রাষ্ট্র সংস্কারে কাজে লাগাতে হবে।
বিভিন্ন
দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে থাকেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কখনও আমাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আমন্ত্রণ জানায়নি। গত ৭ জানুয়ারি
বাংলাদেশে অবশ্য আসল নির্বাচন ছিল না, বরং নকল নির্বাচন ছিল। অধ্যাপক ইউনূস নিশ্চিত করেছেন এক বছরের মধ্যে
আশা করা যায় যে নির্বাচন হবে।
একটি সত্যিকারের স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে একইসঙ্গে সত্যিকারের স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামোগুলো থাকতে হবে। যদি খুব তাড়াহুড়া করা হয়, সেটি বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হবে।
উল্লেখ্য,
বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য রূপা হককে বুধবার বিকেলে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল আলম লিটন, সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট
ইনস্টিটিউটের পরিচালক আ ন ম
এহসানুল হক মিলন এবং
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান লিটু উপস্থিত ছিলেন।