মুক্তিযুদ্ধের
অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন
করা দেশের প্রথম সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন
(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
আজ (২৬ জানুয়ারি)
সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) অফিসার্স ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার
ব্যক্তিগত সহকারী জিয়াউর রহমান মনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাজী আবদুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে।
সফিউল্লাহ
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় তিনি আক্রান্ত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্ট্রেচারে চলাফেরা করতেন।
১৯৭১
সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি
সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের
কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে “এস" ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি “বীর উত্তম" খেতাব পান।
১৯৩৪
সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের
রূপগঞ্জে জন্ম নেওয়া কে এম সফিউল্লাহ
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে
১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
১৯৯১
সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি
করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।