× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

যুবদল নেতার মৃত্যু: যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে গঠন করা হলো তদন্ত কমিটি

ডেস্ক রিপোর্ট।

০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫১ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত

গতকাল (৩১ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার যুবদল নেতা মো. তৌহিদুর রহমানের মৃত্যু একটি অতি দুঃখজনক ঘটনা হিসেবে উঠে এসেছে, যা পুরো দেশে আলোচনার ঝড় তুলেছে। সেনাবাহিনীর হেফাজতে তার মৃত্যু নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। এ ঘটনার পেছনে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের কমান্ডারকে প্রত্যাহার করেছে এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুরো পরিবার, রাজনৈতিক নেতারা এবং সাধারণ জনগণ ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছেন।

তৌহিদুর রহমান, যিনি কুমিল্লার পাঁচথুবী ইউনিয়নের যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন, সম্প্রতি তার বাবার মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রাম বন্দরের চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। আজ (১ ফেব্রুয়ারি) ছিল তার বাবার কুলখানি অনুষ্ঠান। কিন্তু এর আগের দিন রাত আড়াইটার সময় সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। সেনাবাহিনীর দাবি ছিল, তৌহিদুরের কাছে অস্ত্র রয়েছে। এরপর তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং পরবর্তী সময়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

এটি একটি অত্যন্ত রহস্যময় ঘটনা হিসেবে দাঁড়িয়েছে, কারণ মৃত্যুর পেছনে যৌথবাহিনীর অভিযানের প্রকৃত কারণ এখনো সঠিকভাবে উদঘাটিত হয়নি। সেনাবাহিনী এই ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।

ঘটনাটি সামনে আসার পর, সেনাবাহিনী তার ক্যাম্পের কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করেছে এবং একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) জানিয়েছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তৌহিদুর রহমানের মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিএনপি, বিশেষত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তৌহিদুরের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন এবং দায়ী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপি দাবি করছে, তৌহিদুর রহমানের মৃত্যুতে সেনাবাহিনীর জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক পর্যায়ের পাশাপাশি, সাধারণ জনগণও এই ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবি তুলছে।

তৌহিদুর রহমান ছিলেন পাঁচথুবী ইউনিয়নের মোখলেছুর রহমানের ছেলে এবং সংসারে স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। তার জীবন ছিল সাধারণ, তবে গত কয়েক বছর ধরে তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরের একটি শিপিং এজেন্টে চাকরি করলেও, তিনি তার পারিবারিক দায়িত্ব এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমে সমানভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার মৃত্যুতে শোকাহত তার পরিবার এবং পুরো স্থানীয় সমাজ।

তৌহিদুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। যে কোনো ধরনের আইন-অমান্য বা অযাচিত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, এই ঘটনাটির সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা উচিত। শুধুমাত্র সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনার আসল সত্য উন্মোচিত হতে পারে এবং যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

এছাড়া, এর মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সাধারণ জনগণের আস্থা বজায় রাখা সম্ভব হবে। তৌহিদুর রহমানের পরিবার, রাজনৈতিক সংগঠন এবং সাধারণ নাগরিকদের জন্য এই ন্যায়বিচারের অগ্রগতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.