মেডিকেল
অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা তাদের চার দফা দাবি আদায়ের জন্য সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চ কর্মসূচি
পালন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হয়েছেন। এতে ১৮ জন আহত
হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাংবাদিকও রয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ
(৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়।
আহত
শিক্ষার্থীরা হলেন– নওগাঁ ম্যাটসের মেহরাব (২০) প্রাইম ম্যাটসের এরশাদুল হক (৩০), শ্যামলী ম্যাটসের জাহিদুল হাসান (২৬), সোহাগ (২২), আমানুল্লাহ (২০), ট্রমা ম্যাটসের সায়মা (২১), সুমাইয়া খাতুন (২০), তাহমিনা আক্তার তমা (২০), বরিশাল জমজম ম্যাটসের মোহাম্মদ রাসেল (২৩), গাজীপুর ম্যাটসের শিহাব (২০), কুষ্টিয়া ম্যাটসের আরাফাত (২১), জাহিদ হাসান (২১), টাঙ্গাইল সোহরাব উদ্দিন ম্যাটসের নাঈম (২৫), বাগেরহাট ম্যাটসের সায়েম (২০) ও ব্রেকিং নিউজের
স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ারুল ইসলাম শিমুল(২৮)।
ঢামেক
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, সচিবালয়ের সামনে থেকে আহত অবস্থায় ১৮ জনকে ঢাকা
মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
এর
আগে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে
রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে লং মার্চ শুরু
করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। এসময় বাধা দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লং মার্চ শুরু
করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের
দাবি, আশ্বাসের নামে আবারও মুলা ঝোলানোর চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আমরা আজই ম্যাটস বৈষম্যের সুরাহা চাই, আর রাজপথে এসে
আন্দোলন করতে চাই না।
স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পরও কেন সচিবালয়ে দিকে যাচ্ছেন– জানতে চাইলে শরিফুল ইসলাম নামক এক শিক্ষার্থী বলেন,
আমাদের শাহবাগে বসিয়ে রেখে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করলে হবে না। আমাদের নিয়ে বৈঠক করতে হবে। সবার সামনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দাবি মানার ঘোষণা দিলেই আমরা ঘরে ফিরে যাব।