২০২৪ সালের
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন
প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক সরকার, নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দাবাহিনী
আন্দোলন দমাতে সুপরিকল্পিতভাবে সহিংস উপায় অবলম্বন করেছে এতে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন
হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) এ ঘটনা আন্তর্জাতিক
ফৌজদারি অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে জানিয়েছে এসব ঘটনায় অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের
প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
১১৪ পৃষ্ঠার
ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাবেক সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী আওয়ামী লীগের
সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এতে শতশত বিচারবহির্ভূত
হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বলপ্রয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে
নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিগ্রহের ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত তথ্যের
ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআর মনে করে, বিক্ষোভ এবং ভিন্নমত দমনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবগতি, সমন্বয় এবং নির্দেশনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা
ঘটেছে।
জাতিসংঘের
মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত
সংঘটিত অভিযুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবমাননা বিষয়ে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং
মিশন পরিচালনা করে। বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিত এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব
বুঝতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়।