জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যার ঘটনায়
মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে ১৬ আসামি। এদের
মধ্যে রয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা
সালমান এফ রহমান, সাবেক
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী,
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
আজ
(১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রিজনভ্যানে করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আসামিদের বিষয়ে শুনানি হবে।
এর
আগে ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
সালের জুলাই-আগস্টে ‘হত্যা-গণহত্যা’ অভিযোগে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ১১ মন্ত্রীসহ ১৬
জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
সময় দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ নভেম্বর,
২০২৩ সালে একই ঘটনায় ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে
তদন্ত শেষ করতে এক মাসের সময়
দেয়।
এদিকে,
ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে
শেখ হাসিনা ও তার সরকারের
অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। এই আন্দোলনে প্রায়
দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। ৫ আগস্ট শেখ
হাসিনার সরকারের ১৫ বছরের শাসনাবসানের
পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়, এবং তারা জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।