প্রাথমিক
ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে হাইকোর্ট ৬,৫৩১ জনের
নিয়োগ বাতিল করলেও, সব ধরনের আইনি
প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ফল ঘোষণা করা
হয়েছিল। এই কারণে নিয়োগ
বাতিল হওয়া প্রার্থীদের প্রতি তাদের সহানুভূতি রয়েছে।
আজ
(১৮ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
গণশিক্ষা
উপদেষ্টা বলেন, "আদালত থেকে একটি রায় এসেছে, যেটিতে তারা ক্ষুব্ধ। আমরা আপিল করেছি। যেহেতু এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই প্রশাসনিকভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই।"
বিধান
রঞ্জন রায় আরও জানান, "জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই আমরা ফল ঘোষণা করেছি।
আমাদের মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করেনি।
আমরা আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করেছি,
এবং আমরা মনে করি যে আইনি কাঠামো
অনুযায়ী আমাদের কাজগুলো করা হয়েছে। তাই আন্দোলনরত প্রার্থীদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে।"
গত
৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬,৫৩১ জনের
নিয়োগ বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পর থেকেই
ফল বাতিল হওয়া শিক্ষক প্রার্থীরা আন্দোলন করছেন।
উপদেষ্টা
আরও বলেন, “আমরা ডিসিদের বক্তব্য শুনেছি এবং আমরা কী করছি, কী
করতে যাচ্ছি সে বিষয়ে তাদের
অবহিত করেছি। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে ডিসিরা রয়েছেন, এবং সেই কমিটিতে যেন বিভিন্ন বিষয় তারা সিরিয়াসলি দেখেন, সে বিষয়ে বলা
হয়েছে। নির্মাণকাজ যেন ঠিকমতো হয়, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনেক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে, যেগুলোর নিবন্ধন প্রয়োজন, কিন্তু অনেকগুলো নিবন্ধিত হয়নি। আমরা সেগুলোর নিবন্ধনের ওপর জোর দিয়েছি।”
তিনি
আরও জানান, "প্রাথমিক শিক্ষায় ৮৫% বই স্কুলে পৌঁছে
গেছে এবং এই মাসের মধ্যে
সব স্কুলে বই পৌঁছে যাবে।"