ছবিঃ সংগৃহীত।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেলা তিনটা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ কয়েক দফায় বিকেল পর্যন্ত চলে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কুয়েটে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবির
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এর
আগে আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ক্যাম্পাসের রাজনীতি ফেরানো, শিক্ষার্থীদের মারধর, মাইক কেড়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে ভিসির বাসভবনের সামনে অবরোধ করে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। দুপুরে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা একত্রিত
হয়ে ক্যাম্পাসে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
ছাত্র
প্রতিনিধি শামসিব নাহিন বলেন, কমপক্ষে তাদের ৩৫ জনের অধিক
ছাত্র হয়েছে। সবাই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তিনি
ছাত্রদলের
খুলনা মহানগর এর সাবেক সদস্য
সচিব তাজিম বিশ্বাস জানান, আমরা এখনো আমাদের সকল ছাত্রনেতাদের খবর নিচ্ছি। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই মুহুর্তে বলা
সম্ভব নয় কতজন আহত
হয়েছে।
শিক্ষার্থী
মুজাহিদ ও উৎপল জানান,
কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের রাজনীতি প্রবেশ করানো এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর উষ্কানি প্রদান করে হামলা, মাইক কেড়ে নেওয়ার কারণে অন্তত ১৮ জনকে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের
দাবীতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। তাঁদের দাবী কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ এবং শাস্তির বিধান উল্লেখপূর্বক প্রজ্ঞাপন আকারে অর্ডিনেন্স এ যুক্ত করতে
হবে। সেসকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কুয়েটে রাজনীতি প্রবেশের জন্য সহায়তা করেছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিরাপত্তাজনিত কারণে কুয়েট ক্যাম্পাসকে সিসি টিভির আওতায় আনতে হবে।
ঘটনার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে শিক্ষার্থীরা “ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে
না”, “দাবি মোদের একটায়, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই”, “এই ক্যাম্পাসে হবে
না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা”-সহ বিভিন্ন স্লোগান
দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করেন। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে তাদের সঙ্গে ছাত্রদের অন্য একটি গ্রুপের উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে কুয়েট ক্যাম্পাসের পাশাপাশি কুয়েট-সংলগ্ন রোডে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খুলনার খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, “কুয়েটে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh