আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে ‘একুশে পদক-২০২৫’ প্রদান করা হয়েছে। এই পদক প্রদান করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একুশে পদক একটি অত্যন্ত সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার, যা ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর বিশেষ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রদান করা হয়।
এ বছর একুশে পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তির মধ্যে চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে মরণোত্তর পুরস্কৃত হন আজিজুর রহমান, সংগীতের ক্ষেত্রে মরণোত্তর পুরস্কৃত হন ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া, ফেরদৌস আরা। গবেষণায় পুরস্কৃত হয়েছেন মঈদুল হাসান, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন এবং চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা। সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লাহকে মরণোত্তর পদক দেওয়া হয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে মেহদী হাসান খান, রিফাত নবী, মো. তানবিন ইসলাম সিয়াম এবং শাবাব মুস্তাফা দলগতভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন। সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী মরণোত্তর পদক লাভ করেছেন। সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ, শহীদুল জহির (মো. শহিদুল হক) মরণোত্তর পুরস্কৃত হয়েছেন। সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহিদুল আলম এবং ক্রীড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল পুরস্কৃত হয়েছেন।
প্রত্যেক পদকপ্রাপ্তকে দেওয়া হয়েছে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র এবং ৪ লাখ টাকার চেক। একুশে পদক একটি বিশেষ সম্মাননা যা বাংলা ভাষার উন্নয়ন, সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প, সমাজসেবা, ক্রীড়া এবং সাংবাদিকতার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভুতপূর্ব অবদান রাখার জন্য প্রদান করা হয়।