বাংলাদেশে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম
রেজাউল করিম।
স্থানীয়
সময় বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে প্রবাসী বাঙালি আয়োজিত এক আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
শোষণ
বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও ধারাবাহিক ইতিহাস
তুলে ধরে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কীভাবে
গণহত্যা চালানো হয়েছিল তা উল্লেখ করেন
মন্ত্রী। স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি।
শ
ম রেজাউল করিম বলেন, ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা
নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এখনও সক্রিয় রয়েছে। কিছু চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হলেও তাদের প্রেতাত্মারা দেশ ও বিদেশে
সক্রিয় রয়েছে। তারা চায়না স্বাধীন বাংলাদেশ টিকে থাকুক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন হোক। সে কারণে তারা
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’
শ
ম রেজাউল করিম বলেন, ‘শেখ হাসিনাই একমাত্র সাহসী রাষ্ট্রনায়ক যিনি দেশি-বিদেশি প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর
করেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও জেল হত্যায়
জড়িতদের বিচার করেছেন। নিজের জীবনে অন্তত ১৯ বার মৃত্যুর
মুখোমুখি হয়েছেন। কোনোভাবেই অপরাধীদের সঙ্গে আপস করেননি। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের শেষ আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা ও সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজরা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত। তাদের যেকোনও মূল্যে প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের এগিয়ে আসতে হবে।’
শেখ
হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে এত
উন্নয়ন বাংলাদেশের অন্য কোনও সরকার করতে পারেনি। সমকালীন ইতিহাসে শেখ হাসিনার মতো দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, দেশপ্রেমী ও উন্নয়নের জাদুকর
রাষ্ট্রনায়ক দ্বিতীয় জন নেই। বাংলাদেশকে
উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে প্রবাসী বাঙালিদের এগিয়ে আসতে হবে।’
আলোচনা
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লন্ডন প্রবাসী বাঙালি সুজন কুমার রায়, লুৎফর রহমান, ইমরানুল ইসলাম প্রমুখ।