চাঁদপুরে লাইনের গ্যাস পাইপ লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ (৯ মার্চ) ভোররাত
৪টায় সেহরির জন্য রান্নার চুলা জ্বালানোর সময় শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় রুস্তম বেপারী বাড়ির ৬ তলা ভবনে
এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের মধ্যে আবদুর রহমান (৫০), শানু বেগম (৪০), খাদিজা আক্তার (৩০) এবং মঈন (১৬) নামে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া, ইমাম হোসেন (৩৫) ও দিবা আক্তার
বর্তমানে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার ভোরে সেহরির জন্য খাবার গরম করতে রান্নাঘরে গিয়ে খাদিজা বেগম গ্যাস চুলার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের শিকার হন। এতে ওই বাসার ছয়জন
দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বাকি
দুইজন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় বাসার ১১ জনের মধ্যে
ছয়জন দগ্ধ হলেও, আবদুর রহমানের ছোট ছেলে রাতে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়ে প্রথম দরজায় তালা লাগিয়ে রাখেন। ফলে আগুন পুরো বাসায় ছড়িয়ে পড়লে তারা বের হতে বিলম্ব করেন। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠান।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং জানান যে, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের
উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন জানিয়েছেন, তারা এই ঘটনায় এখনও
বিস্তারিত তথ্য পাননি, তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হবে।