মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় নিরাপত্তার কারণে আসামিদের দিনের আলোতে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় গভীর রাতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেছে আদালত।
আদালত মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে সাত দিন এবং অন্য তিন আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। পাঁচ দিন করে রিমান্ড প্রাপ্তরা হলেন—হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম, বড় ছেলে সজীব শেখ ও ছোট ছেলে রাতুল শেখ।
মাগুরা জেলা কারাগারের জেল সুপার মহিউদ্দিন হায়দার জানান, রোববার গভীর রাতে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে একটি আদেশ দেওয়া হয়। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণের ঘটনায় চার আসামিকে জেলা কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে আদালত চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে, মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মতিন প্রধান আসামি হিটু শেখকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে মামলার অপর তিন আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং রিমান্ড না দেওয়ার আবেদন জানান।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। ফলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক মামলার মূল অভিযুক্তকে সাত দিন এবং অন্য তিন আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। আসামিরা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।