তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের
বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এই বিষয়ে আরও
কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে জন্য সরকার
আন্তরিক। তিনি আজ (১১ মার্চ) তার
ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাসে এসব মন্তব্য করেন।
স্ট্যাটাসে
তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘পুলিশকে সহযোগিতা করুন, এখন সময়ের চাহিদা হল স্থিতিশীলতা বজায়
রাখা। গত কয়েকদিনে পুলিশ
নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণের মামলায়
আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে এবং পুলিশের সক্রিয়তার কারণে বনানীর ছিনতাইয়ের হামলার আসামিরাও ধরা পড়েছে। সেনাবাহিনীও মাঠে রয়েছে, তবে তারা একা পুলিশ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সক্ষম নয়। পুলিশ পুরোপুরি সক্রিয় না হলে নাগরিক
সেবা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে সমস্যা হতে পারে।"
তিনি
পুলিশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে আরও বলেন, ‘‘পুলিশের মনোবল একেবারে ভেঙে পড়েছিল, তবে জনগণের পক্ষ থেকে পুলিশিং করার জন্য যতটুকু সংস্কার এবং সময় প্রয়োজন, তা না দিলে
পুলিশ সেরে উঠতে পারবে না। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেরে ওঠার জন্য সময় দিতে হবে। এ নিয়ে তাড়াহুড়োর
ফল ভালো হবে না। তবে, আগামী কয়েকমাসের মধ্যে কিছু স্বল্পমেয়াদি সংস্কার করা হবে। আপনাদেরও কীভাবে নাগরিকবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়ে স্পষ্ট
রূপরেখা নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।"
ধর্ষণ
ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘‘সরকার আন্তরিক, তবে আরও কী পদক্ষেপ নেওয়া
যায়, সে বিষয়ে সরকার
খোলামেলা আলোচনা করছে। তবে, নাগরিক আন্দোলন যেন অভ্যুত্থানবিরোধী শক্তির অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সে
জন্য দায়িত্ব আমাদের সকলের। কোনো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে
না এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা চলতে দেওয়া যাবে না।"
তিনি
আরও বলেন, ‘‘সরকার যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের দাবি পূরণের জন্য কাজ করছে। কিন্তু, যদি মব মানসিকতা এবং
পুলিশকে কাজ করতে না দেওয়ার শর্ত
তৈরি হয়, তাহলে এর দায় স্যাবোটেজকারীদের
নিতে হবে। আমরা মব বিচারের মানসিকতা
পরিত্যাগ করতে চাই, এবং অভ্যুত্থানবিরোধী হঠকারী স্লোগান বাদ দিয়ে সবার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর সমাধান খুঁজতে হবে।"
শেষে
মাহফুজ আলম বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সবার, সব নাগরিকের। নাগরিকের
বিরুদ্ধে কোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। কিন্তু, মব সন্ত্রাস বা
মব জাস্টিসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন কোনো ফ্যাশন স্টেইটমেন্ট নয়, বরং সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও আলোচনার ভিত্তিতে
সমাধান খুঁজতে হবে।"