হাইকোর্ট আজ (১২ মার্চ) এক রায়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ তাদের নামের আগে "ডাক্তার" পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, এমবিবিএস এবং বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া যারা এখন পর্যন্ত "ডাক্তার" পদবি ব্যবহার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে আগামীকাল (১৩ মার্চ) থেকে যদি কেউ এই পদবি অবৈধভাবে ব্যবহার করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সংক্রান্ত দুটি রিটের শুনানি শেষে আজকের দিন রায় দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন কার্যকর হয়। এই আইনের ২৯ ধারার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং এর সদস্যরা ২০১৩ সালে একটি রিট দায়ের করেন, যার মাধ্যমে তারা আইনটির বৈষম্যমূলক প্রয়োগের অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন। এর পর ২০২২ সালে একই আইনের ২৯ ধারার বৈধতা নিয়ে আরেকটি রিট করা হয়।
২০১৩ সালের ১১ মার্চ হাইকোর্ট এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিল এবং দ্বিতীয় রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এই রুলের মাধ্যমে আদালত জানতে চেয়েছিল, কেন আইনটির ২৯ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না।
হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, বাংলাদেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২৯(১) ধারায় বলা হয়েছে, এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি না থাকলে কেউ তাদের নামের আগে "ডাক্তার" পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। এই আইন লঙ্ঘন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং শাস্তি হিসেবে তিন বছর কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে। একই অপরাধ পুনরাবৃত্তি হলে, অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।