মিয়ানমার সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক
বিচার আদালত (আইসিজে) তে মামলা দায়ের
করে গাম্বিয়া। সেই মামলার সফলতা নিশ্চিত করতে গাম্বিয়ার পাশের থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ (১২ মার্চ) গাম্বিয়ার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে এই প্রতিশ্রুতি দেন।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা এই গণহত্যা মামলা
রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে করেছি এবং এটি এখনো চলমান রয়েছে। গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টি সমর্থন
করছেন এবং আমরা বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে চাই।”
তাঙ্গারা আরও বলেন, “আমরা এই মামলাটি সফল
করতে চাই এবং এর জন্য আমরা
আপনার সমর্থন কামনা করি। এটি আমাদের জন্য বড় সহায়তা হবে।”
অধ্যাপক ইউনূস গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রোহিঙ্গা জনগণের মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করবে।
তিনি গাম্বিয়ার জনগণের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “আপনি গাম্বিয়ার একটি পরিচিত নাম। আপনার উজ্জ্বল নেতৃত্বের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সব সময় আপনার
পাশে থাকবে।”
ড. ইউনূস রোহিঙ্গা জনগণের জন্য ত্রাণ সংগ্রহে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং রাখাইনে মানবিক সাহায্য সহায়তার বিষয়ে তার অব্যাহত আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি সীমান্ত পেরিয়ে আরও লোকের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতার জন্য
আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমরা জানাতে চাই, কীভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি।”
দুই নেতা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌথভাবে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি সই করার ব্যাপারে
সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আফ্রিকার লাখ লাখ মানুষের দারিদ্র্য বিমোচন এবং ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে সহিংসতা-পীড়িত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার
সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান
এবং বাংলাদেশ সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজি বিষয়ক
প্রধান লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।