জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, "বাংলাদেশ বর্তমানে যে সংস্কার ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাতে সবার জন্য একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যত গড়তে জাতিসংঘের সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ।" তিনি ড. ইউনূস, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটসহ বিভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান। দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার পৌঁছান। কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন তাদের স্বাগত জানান।

কক্সবাজার সফরে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এর পর, তারা উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন, যেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

এই পরিদর্শন ও ইফতার শেষে, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে আসবেন।