ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ১৪ মার্চ। আজ (১৬ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টায়। এই দিনে যারা টিকিট কিনবেন, তারা আগামী ২৬ মার্চ ভ্রমণ করতে পারবেন। অগ্রিম টিকিটের শতভাগই অনলাইনে বিক্রি হবে।
যাত্রীদের সুবিধার্থে অঞ্চলভিত্তিক টিকিট বিক্রির সময় বিভাজন করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট সকাল ৮টা থেকে এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।
রেল মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী,
- ২৬ মার্চের টিকিট ১৬ মার্চ,
- ২৭ মার্চের টিকিট ১৭ মার্চ,
- ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ,
- ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ,
৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ বিক্রি হবে।
এছাড়া, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ, ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিটও বিক্রি করা হবে।
এবার ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫,৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। বিগত বছরের তুলনায় এবার কম সংখ্যক বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে; এবারের ঈদযাত্রায় পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে, যা পূর্বের ৮-১০ জোড়া ট্রেনের তুলনায় কম।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী,
- চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে দুটি চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (১ ও ২),
- ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দুটি দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (৩ ও ৪),
- ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে দুটি শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (৫ ও ৬),
- ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে দুটি শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (৭ ও ৮),
- জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে দুটি পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল (৯ ও ১০) ট্রেন চলবে।
ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে মোট ৪৪টি যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে যুক্ত করা হবে, যার মধ্যে ২৮টি মিটারগেজ ও ৩৬টি ব্রডগেজ কোচ থাকবে। এছাড়া, ১৯টি লোকোমোটিভ (১৪টি মিটারগেজ ও ৫টি ব্রডগেজ) যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য ব্যবহৃত হবে।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না, তবে ঈদের পর সাপ্তাহিক ডে-অফ পুনরায় কার্যকর হবে। ঈদের দিন কোনো আন্তনগর ট্রেন চলাচল করবে না।