আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় সম্পর্কে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, “এই রায়ের মাধ্যমে দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। একটি রাষ্ট্র ও সমাজে শৃঙ্খলা আনার জন্য বিচার বিভাগের যে ধারণা ছিল, তা এই রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হলো।”
আজ (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আরও বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে একটি বার্তা পৌঁছেছে, যে আপনি যত শক্তিশালী হোন না কেন, বা আপনার পেছনে যতই শক্তি থাকুক, সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই এবং ন্যায় বিচার হবে।”
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, “আবরার ফাহাদের মৃত্যু এই বার্তা দিয়েছে যে, ফ্যাসিজম যত শক্তিশালীই হোক, মানুষের মনুষ্যত্ববোধ কখনও কখনও জেগে উঠে সব ফ্যাসিজমকে ভেঙে দিতে পারে।”
এর আগে, হাইকোর্ট বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে। একই সঙ্গে ৫ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রেখেছে।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী ও আজিজুর রহমান দুলু উপস্থিত ছিলেন। আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থাকা ২০ জন। এছাড়া, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন— মুহতাসিম ফুয়াদ, ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, আকাশ হোসেন, এবং মোয়াজ আবু হোরায়রা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার বাবা বরকত উল্লাহ ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে, ১৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করা হয়।