ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ১৫ জুলাই থেকে
৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময়
হামলাসংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়।
আজ
(১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়, এবং সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ
খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে, তবে তাদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক
বহিষ্কার করার পর, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস
ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে জড়িতদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর
আগে, ১৩ মার্চ, বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান তদন্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন। অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম প্রতিবেদনটি উপাচার্যকে হস্তান্তর করেন। প্রতিবেদনে অনেক সাবেক শিক্ষার্থীও হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে, এবং তাদের একাডেমিক সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত
কমিটি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই হামলার
সবচেয়ে মারাত্মক দিক ছিল নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও ঢাকা মেডিকেল
কলেজের জরুরি বিভাগে যাওয়ার পথে আহত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং জরুরি বিভাগের ভেতরে আহতদের চিকিৎসায় বাধা দেওয়ার ঘটনাও উঠে এসেছে।