নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, নিকটাত্মীয় এবং রক্তের সম্পর্ক ছাড়া প্রবাসীরা কাউকে প্রক্সি ভোটার হিসেবে মনোনীত করতে পারবেন না।
ইসি জানায়, প্রক্সি ভোটার হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তি নিজেও ভোট দিতে পারবেন। প্রবাসীরা বিদেশে বসেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং নিজের পক্ষে একজনকে (নিজ নির্বাচনী এলাকার) প্রক্সি ভোটার হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ বাংলাদেশি ভোটার আছেন, এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে প্রক্সি ভোটের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। এটি বাংলাদেশের ভোটারদের জন্য নতুন একটি পদ্ধতি, তবে এই পদ্ধতিতে প্রবাসীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে কি না, সেই নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে, যা সংশ্লিষ্টরা এবং প্রবাসীরাও অনুভব করছেন।
ইসি জানিয়েছে, এই সংশয় দূর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিকট আত্মীয় ও রক্তের সম্পর্কীয় ব্যক্তিরাই প্রক্সি ভোটার হতে পারবেন। প্রক্সি ভোটের প্রক্রিয়া চালু করতে প্রথমে একটি অ্যাপ ডেভেলপ করা হবে, যদিও অ্যাপ তৈরির কাজ এখনো শুরু হয়নি।
প্রক্সি ভোটারের জন্য প্রয়োজন হবে তাদের এনআইডি এবং ফোন নম্বর। প্রবাসীরা শুধুমাত্র পিতা, মাতা, ভাই, বোন, স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ, কন্যা—এমন রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দেরকে প্রক্সি ভোটার হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। এর মানে, যেকেউ ইচ্ছে করলেই প্রক্সি ভোটার হতে পারবেন না।
এছাড়া, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রক্সি ভোট নিয়ে একটি কর্মশালা আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এমআইএসটিকে এতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, যে কোনো প্রতিষ্ঠান এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিশেষজ্ঞদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া, সিস্টেম আর্কিটেকচার ডেভেলপের জন্য সাবেক অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও এনজিওগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।