স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের আলোচিত সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেককে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ১৩ বছরের সশ্রম
কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ (২৩ মার্চ) ঢাকার
বিশেষ জজ আদালত-৬
এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন এ রায় ঘোষণা
করেন।
জ্ঞাত
আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড
এবং তথ্য গোপনের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া, উভয় ক্ষেত্রেই এক লাখ টাকা
করে অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাস করে
কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে, ফলে মালেককে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা
ভোগ করতে হবে বলে জানান দুদকের প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান রানা।
অবৈধভাবে
অর্জিত এক কোটি ৫০
লাখ ৩১ হাজার ৮১০
টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
রায়
ঘোষণার আগে সকাল বেলায় মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় এবং রায়
শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে,
মালেক ও তার স্ত্রী
নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপর একটি মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় সেটি
আগামী ১৬ এপ্রিল ধার্য
করা হয়েছে।
২০২১
সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, দুদকের
সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী
নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১০
লাখ ৯২ হাজার ৫০
টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ
অর্জনের অভিযোগ ছিল। একই দিনে, ৯৩ লাখ ৫৩
হাজার ৬৪৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ
অর্জনের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে মালেকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা
দুটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে
অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালের ১১ মে আদালত
মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর আগে, ২০২১
সালের ২০ সেপ্টেম্বর, অস্ত্র
আইনের মামলায় মালেককে দুই ধারায় ৩০ বছরের কারাদণ্ড
দেন আদালত।