× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি

ডেস্ক রিপোর্ট

২৫ মার্চ ২০২৫, ১৩:৪২ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক . মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং সমাজে বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু স্বাধীনতার পর এতদিনেও সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে অনেক সময় বঞ্চিত হয়েছে এবং দুর্নীতি, লুটপাট গুম-খুনের রাজত্বের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "আমরা তাদের আত্মত্যাগের জন্য আজ একটিনতুন বাংলাদেশগড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি এবং সেই সুযোগ আমরা কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেবো না।" তিনি আরও বলেন, আজকের অনুষ্ঠান আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে, জীবিত অবস্থায় পুরস্কৃত হওয়া অনেক বেশি আনন্দদায়ক, কারণ মরণোত্তর পুরস্কার পাওয়া তা সম্ভবপর নয়। যাদের সম্মান আমরা দিতে চাই, তাদের জীবিত অবস্থায় সেই সম্মান জানানো উচিত।

এছাড়া, তিনি পরামর্শ দেন যে, ভবিষ্যতে যারা মরণোত্তর পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হবেন, তাদের সম্মান পুরস্কারের সময়টি তাদের জীবদ্দশায় দেওয়া উচিত। যাতে তারা জাতির কাছে সম্মানিত হতে পারেন এবং তাদের কৃতিত্ব জাতির কাছে প্রাপ্য শ্রদ্ধা পায়।

স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫ ছয় বিশিষ্ট নাগরিককে মরণোত্তর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে, যারা বাংলার সূর্যসন্তান হিসেবে পরিচিত। তাদের মধ্যে আছেন অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, কবি আল মাহমুদ, স্যার ফজলে হাসান আবেদ, লেখক বদরুদ্দীন উমর, শিল্পী নভেরা আহমেদ এবং বাংলা পপ গানের কিংবদন্তি আজম খান।

প্রফেসর ইউনূস এই ব্যক্তিদের সম্মাননা জানিয়ে বলেন, "অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী, যিনি সারা পৃথিবীতে তার কাজের জন্য পরিচিত। আল মাহমুদ ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, যার কবিতায় অনুপ্রাণিত হয়েছে অনেক কবি পাঠক। স্যার ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।"

তিনি আরও বলেন, "বদরুদ্দীন উমরের কাজ আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা। নভেরা আহমেদ ছিলেন আধুনিক ভাস্কর্যের পথিকৃৎ, আর আজম খান দেশের তরুণদের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।"

এছাড়া, তিনি আবরার ফাহাদের নাম উল্লেখ করে বলেন, "সে ন্যায়বিচারের জন্য, বাকস্বাধীনতার জন্য প্রতিবাদ করে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছিল। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।"

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "আজ যারা সম্মাননা পেয়েছেন, তাদের জীবনযাত্রা অবদান স্মরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি আমাদের জাতির জন্য গর্বের, এবং তাদের কাজ আমাদের তরুণদের জন্য যুগান্তকারী অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।"

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "আজকের এই দিনে, আমরা তাদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। তাদের কাজের মাধ্যমে আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তাদের কৃতিত্ব অবদান স্মরণ করতে পারবো।"

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.