দেশে
চলতি বছর খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “আল্লাহর রহমতে এ বছর ভালো
ফসল হয়েছে। আমাদের খাদ্যশস্যের মজুতও যথেষ্ট। ফলে কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই।”
আজ
(১০ এপ্রিল) বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরের গোবিন্দপুর এলাকায় আয়োজিত বোরো ধান কর্তন উৎসব ও মতবিনিময় সভা
শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর।
কৃষি
উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যেই ধান, চাল ও গমের ন্যায্যমূল্য
নির্ধারণ করেছে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা, চালের
৪৯ টাকা এবং গমের মূল্যও ৩৬ টাকা।
তবে
মাঠপর্যায়ে ধান কাটার গতি নিয়ে রয়েছে কিছু উদ্বেগ। উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান, এখনো পুরোপুরি ধান কাটার কাজ শুরু হয়নি, কেবল নামমাত্র কিছু এলাকা থেকে ধান উঠতে শুরু করেছে। এর মাঝে ঝড়বৃষ্টির
পূর্বাভাস থাকায় কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এ
প্রসঙ্গে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, “যদি কৃষকরা শঙ্কিত থাকেন, তাহলে হাওরের বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে
থাকা প্রকৌশলীরাও নিশ্চয়ই শঙ্কিত থাকবেন। বিষয়টি সরকার গুরুত্ব সহকারে দেখছে।”
তিনি
আরও বলেন, “যদি ধান বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেট কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাহলে আমাদের জানাতে হবে। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব, সব সোজা করে
দেব।”
মধ্যস্বত্বভোগীদের
দৌরাত্ম্য রোধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথাও জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এইবার সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকেই ধান সংগ্রহ করছে, যাতে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী সুযোগ নিতে না পারে।”
উক্ত
ধান কর্তন উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী, সুনামগঞ্জের
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস
মিয়া, এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।