আজ (১২ এপ্রিল) বিকেলে আয়োজিত এই গণজমায়েতের মূল মঞ্চ থেকে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন মানবতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই নৃশংসতা অবিলম্বে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ঘোষণাপত্রে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যেন তারা ইসরায়েলের সঙ্গে থাকা সকল ধরনের চুক্তি বাতিল করেন এবং দখলদার রাষ্ট্রটির সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

এই কর্মসূচিতে সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলে দলে মানুষ ছোট-বড় মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হন। নানা বয়স ও পেশার হাজারো মানুষ, তরুণ-তরুণী, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, শ্রমিক, ধর্মীয় বক্তা ও সাধারণ জনগণ—সকলেই কণ্ঠ মিলিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলের বর্বরতা ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তৃতায় উঠে আসে একটাই দাবি—ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হোক, ফিলিস্তিন ফিরে পাক তার স্বাধীনতা ও ন্যায্য অধিকার।

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির ব্যানারে একত্রিত হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী ও জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।

দলমত নির্বিশেষে সবাই এক কণ্ঠে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদ জানিয়ে গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারা সাহসী উচ্চারণে ঘোষণা দেন—"ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে।"