× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সাকিবের আ. লীগে যোগদানের সিদ্ধান্ত ছিল বিশ্বাসঘাতকতা - প্রেস সচিব

ডেস্ক রিপোর্ট

১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২২ পিএম । আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, সাকিবের আওয়ামী লীগে যোগদানের সিদ্ধান্ত শুধুই একটি রাজনৈতিক ভুল নয়, বরং এটি ছিল একটি বিশ্বাসঘাতকতা

গতকাল (১৬ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন। সেখানে সাকিবের রাজনৈতিক অবস্থান, নৈতিক অবস্থান এবং নীরবতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

শফিকুল আলম লেখেন, সাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে আসা স্বাভাবিকভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নয়। কারণ, প্রতিটি নাগরিকেরই রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার এবং রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তোলার অধিকার আছে। কিন্তু প্রশ্নটি হলো তিনি রাজনীতিতে এসেছেন কি না, সেটি নয়বরং তিনি কার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটিই আসল বিষয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, যখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, নির্বিচারে গ্রেফতার, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্নীতি এবং ব্যাংক ডাকাতির মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারিত হচ্ছিল, ঠিক সেই সময়েই সাকিব তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শফিকুলের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি ছিল একটি প্রশ্নবিদ্ধ শাসনব্যবস্থার প্রতি নীরব সমর্থন।

প্রেস সচিবের ভাষায়, সাকিব হয়তো জনমতের স্পন্দন ধরতে পারেননি। কিন্তু তিনি তার সিদ্ধান্তের নৈতিক গুরুত্বকেও অবজ্ঞা করেছেন। এটি হয় একটি গভীর রাজনৈতিক সরলতা, অথবা আরও খারাপ কিছুব্যক্তিগত লাভের আশায় পরিচালিত একটি সুযোগবাদী পদক্ষেপ।

তিনি আরও তীব্র ভাষায় লিখেছেন, সাকিবের নীরবতাই এই সমালোচনাকে আরও গভীর করে তোলে। বিশেষ করে নিজের শহর মাগুরায় তার দলীয় সমর্থকদের দ্বারা বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর চালানো সহিংসতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়। শফিকুল বলেন, মাগুরায় বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু সাকিব সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি। তিনি না নিন্দা করেছেন, না বিচার দাবি করেছেন, এমনকি দুঃখপ্রকাশও করেননি। তার এই নীরবতা শুধু হতাশাজনক নয়, এটি ছিল নৈতিকভাবে বধির।

সাকিবের অতুলনীয় ক্রিকেট প্রতিভার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সাকিব হয়তো বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করা কারো জন্য দায়মুক্তির কারণ হতে পারে না।

শফিকুল আলম আরও লেখেন, কেউ কেবল আশা করতে পারে, একদিন সাকিব জাতিসংঘের সেই ১২৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি পড়বেন, যেখানে তার দলের নেতৃত্বের অধীনে সংঘটিত নৃশংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে।

পোস্টের শেষাংশে তিনি লিখেছেন, সাকিবের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বিতর্কিত ব্যক্তিদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সবকিছুই একটি দিকেই নির্দেশ করেএটি জনসেবা নয়, বরং ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে পরিচালিত একটি পদক্ষেপ।

শেষ লাইনটিতে এসে তিনি লেখেন, একদিন হয়তো সাকিবকে ফিরে আসতে হবে। আর তখন তিনি সত্যের মুখোমুখি হবেন। বুঝবেন, আওয়ামী লীগে যোগদানের সিদ্ধান্ত শুধু একটি ভুল ছিল না, বরং সেটি ছিল একটি বিশ্বাসঘাতকতা।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.