× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক- মেঘনা আলম

ডেস্ক রিপোর্ট

১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৪৩ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

বিদেশি কূটনীতিকদেরপ্রেমের ফাঁদেফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অভিযুক্ত তার কথিত সহযোগী, ‘সানজানা ম্যানপাওয়ারনামক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ (১৭ এপ্রিল) সকালে দুই আসামিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেন, এই আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কৌশলে বিদেশি রাষ্ট্রদূত কূটনৈতিকদের টার্গেট করে প্রতারণা চালিয়ে আসছেন। তারাহানি ট্র্যাপপদ্ধতিতে এসব কূটনীতিকদের বিপদে ফেলে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছেন। সর্বশেষ অভিযোগ, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসিয়ে তার কাছ থেকে মিলিয়ন ডলার দাবি করেন এই চক্রের সদস্যরা।

শুনানির একপর্যায়ে আদালতে নিজের পরিচয় স্পষ্ট করে দেন মেঘনা আলম। তিনি অনুরোধ করেন, তার নাম যেনমেঘলানয়, সঠিকভাবেমেঘনাবলা হয়। বিচারক তখন জানতে চান, আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী রয়েছেন কি না। জবাবে মেঘনা জানান, তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী নেই। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি নিজেই বক্তব্য রাখতে চান।

মেঘনা আদালতে বলেন, আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়। বলা হচ্ছে আমি নাকি সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে প্রতারণা করেছি। প্রশ্ন হলো, কোনো সাধারণ ব্যক্তি কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, আমি কোনো আইনজীবী পাব না।

তিনি আরও দাবি করেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক ছিল। তার ভাষায়, ঈসা অভিযোগ করেছেন, আমি নাকি তার সন্তান নষ্ট করে দিয়েছি। এটা মিথ্যা। আমি ঈসাকে বলি, এসব তথ্য যেন সে ছড়ায় না। এরপরই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, এই বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মহাপরিচালক, শফিকুর রহমানের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

অন্যদিকে, আসামি দেওয়ান সমির আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমাকে মেঘনার বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটি মিথ্যা ভিত্তিহীন। আমি একজন সাধারণ মানুষ, দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলাম, একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। এই মামলার কোনো ঘটনার সঙ্গেই আমি জড়িত নই।

সব শুনানি শেষে আদালত মেঘনা আলম দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। পাশাপাশি দেওয়ান সমিরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মেঘনা বলেন, আমার একমাত্র সম্পর্ক ঈসার সঙ্গে, অন্য কারও সঙ্গে নয়। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। এই সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলার নির্দেশ দেন।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.